মোবাইল ব্যাংকিং কি | মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা

ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় একটি নাম হল মোবাইল ব্যাংকিং। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ডিজিটাল পেমেন্টগুলো করতে পারবেন। 
মোবাইল ব্যাংকিং
মোবাইল ব্যাংকিং

মোবাইল ব্যাংকিং কি?

ইন্টারনেট আবিষ্কারের ফলে বিভিন্ন সেক্টরে যোগাযোগ এখন সহজ থেকে সহজতর হয়েছে। আর তাই ব্যাংকিং সেক্টরের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার রূপান্তর হয়েছে। যেখানে রেজিস্টার গ্রাহকগণ ব্যাংকের সমস্ত সার্ভিস ও সুবিধা গুলো নিজের স্মার্টফোনেই অ্যাক্সেস করতে পারেন। 

মোবাইল ব্যাংকিং কাকে বলে?

কোন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কাস্টামারের যেকোন ধরনের আর্থিক লেনদেন মোবাইলের ডিভাইসের সাহায্যে সম্পূর্ণ করাকেই মোবাইল ব্যাংকিং বলে। 

মোটকথা মোবাইলের সাহায্যে টাকা লেনদেন করাকেই মোবাইল ব্যাংকিং বলে। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্টের যাবতীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধাই হল মোবাইল ব্যাংকিং।

Mobile Banking Apps কি?

একটি mobile banking app অন্য যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপসের মতো। যেটাকে আপনারা নিজের bank এর official website বা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে Google play store থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। 

তবে মোবাইলে নিজের ব্যাংকের সাথে জড়িত সেবা গুলোর ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি platform এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

যা সরাসরি ব্যাংকের সার্ভারের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকা সেই banking platform তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় একটি application এর। আর ব্যাংকের server এর সাথে connected এই ধরণের official apps গুলোকেই বলা হয় mobile banking apps বা (MBA)। 

এই application এর মধ্যে সঠিক credentials (user ID, passcode ইত্যাদি) দিয়ে আপনি সুরক্ষিত ভাবে অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি নিজের ব্যাংকের এর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন। 

এবং জরুরি banking transactions গুলো করার সুবিধা সরাসরি আপনাকে দেওয়া হয়। তবে সেক্ষেত্রে আপনার যেই bank এর account রয়েছে সেই ব্যাংক এর application বা (apps) আপনাকে ব্যবহার করতে হয়।

কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করব?

আসলে আলাদা আলাদা ব্যাংকের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এক্টিভেট করার প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে আপনারা নিজের ব্যাংকের official website বা branch এর মধ্যে ভিজিট করে activate করার প্রক্রিয়া জেনে নিতে পারেন। 

তাছাড়া বেশিরভাগ ব্যাংকের official mobile banking app download করার পর সেখানে সরাসরি account register করার option দেওয়া থাকে। 

আর Account তৈরি করার সময় আপনাকে আপনার ATM card password ব্যাংকের সাথে রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বর এবং ATM/debit card এর details দিতে লাগতে পারে account verification এর ক্ষেত্রে। 

তাছাড়া অনেক ব্যাংকের ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাংকের ATM সেবার দ্বারা mobile banking activate করতে হয়। আর তাই আপনি আপনার ব্যাংকের branch বা ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে নিন কোন প্রক্রিয়াতে আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং এক্টিভেট করতে হবে।

মোবাইল ব্যাংকিং দ্বারা কি কি করা যাবে ?

  • Fund transfer অর্থাৎ (টাকার লেনদেন)
  • Mobile এবং DTH recharge
  • Online ticket booking
  • লোনের জন্য আবেদন করা।
  • Electricity ইত্যাদি bill payment
  • বিভিন্ন ধরণের online payment
  • Bank statement check এবং ডাউনলোড করা।
  • Account balance check করা।
  • Fixed deposited, mutual fund, RD ইত্যাদির investment করতে পারবেন।
  • Transaction history চেক করা।
  • IMPS, RTGS, NEFT ইত্যাদি।

মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা?

মোবাইল ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সাহায্যে প্রথম যে সুবিধা পাবেন সেটা হল যেকোন জায়গা থেকে স্মার্টফোনের সাহায্যে ব্যাংকিং এর যেকোন সার্ভিস বা লেনদেন বিনাবাধায় দিনে ২৪ ঘন্টা সপ্তাহে ৭ দিন এমনকি ৩৬৫ দিন করতে পারবেন। 

আর আপনি যেখানেই থাকুন যে অবস্থায় থাকুন দেশের মধ্যে বা দেশের বাইরে ,ব্যাংকিং এর সুবিধা আপনি সব সময় পাবেন। আপনার ব্যাংক একাউন্টের খাতায় কত ব্যালেন্স আছে কত লেনদেন করেছেন কত টাকা ঢুকেছে এবং বের হচ্ছে।  

এই সমস্ত স্টেটমেন্ট বা হিসেবে-নিকেশ খুব সহজে এখন নিজের মোবাইল/ট্যাবলেটে কিংবা অ্যাপসের সাহায্যে দেখে নিতে পারবেন। এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে মধ্যে টাকা পাঠানো এখন আপনার কাছে খুব সহজ হয়ে যাবে।

হ্যাঁ তবে এই সুবিধা বাংলাদেশের মধ্যে শুধু একই ব্যাংক একাউন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকের সার্ভিস ব্যবহার করে যেকোনো ইউটিলিটি বিল, যেমনঃ পানি, গ্যাস, ইলেকট্রিক, ইন্টারনেট এছাড়া মোবাইল রিচার্জ, ট্রেনের টিকিট, বিমানের টিকিট সহ আরো অন্যান্য টিকিট ক্রয় ও বিল পে করতে পারবেন। 

আপনার ব্যাংকের মধ্যে একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে। অর্থাৎ এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে খুব সহজেই টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। আপনি নিজের একাউন্টের চেক বই জন্য আবেদন করা ও বাতিল করতে পারবেন। 

বিকাশ বা রকেট অ্যাপস থেকে বিভিন্ন শপিং করতে পারবেন। যেকোন দোকানে যারা বিকাশ বা রকেট এর অ্যাপস থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করে সেখানে আপনি খুব সহজে টাকা পে করতে পারবেন।

মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিা?

Banking app গুলোর একটি নেগিটিভ দিক হল,পাসওয়ার্ড চুরি করে হ্যাকরা গ্রাহকদের একাউন্টে থেকে টাকা চুরি করছে। আর এরকম অনেক কেস দেখা গিয়েছে যেখানে বিকাশ, রকেট, নগদের অ্যাপস থেকে গ্রাহকদের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। 

এখানে গ্রাহকদের একাউন্ট পাসওয়ার্ড বা লগইন তথ্য অন্যে জেনে নিলে একাউন্টের গোপনীয়তা হারায়। এছাড়াও দেশের কর ফাকি দেওয়ার জন্য অনেকেই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করেন।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?

আসলে মোবাইল ব্যাংকিং এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং দুটোর মাধ্যমে প্রায় একই ধরণের ব্যাংকিং transactions করা সম্ভব। 

তাছাড়া এই দুটোই ব্যাংকিং service এর ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একটি device এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে এদের মধ্যে যে মূল পার্থক্যগুলো আছে সেগুলো হলঃ
  • মোবাইল ব্যাংকিং শব্দটি বললেই আমরা বুঝি যে এই ধরণের ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে আমাদের একটি mobile device, tablet বা smartphone এর প্রয়োজন হয়। 
  • কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যাংকিং এর জন্যে আমাদের মোবাইলে ব্যাংকের একটি official app install করার প্রয়োজন হয় যার মাধ্যমে banking transactions গুলো করা যাবে।
  • আর online banking বা internet banking বলতে সেই ব্যাংকিং transactions গুলোকে বলা হয়৷ যেগুলোর সরাসরি ইন্টারনেটের ব্যবহার করে করা হয়েছে। 
  • তবে Internet ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংক এর official website এর মধ্যে লগইন করে transactions গুলো করতে হয়। 
তাছাড়া Internet banking আপনি মোবাইল বা ডেস্কটপ কম্পিউটার কিংবা যেকোনো ডিভাইস থেকে করতে পারবেন। তবে মোবাইল ব্যাংকিং এর জন্য একটি মোবাইল ডিভাইস প্রয়োজন হয়।
Lekha-Lekhi

lekha-lekhi.com এই ওয়েবসাইটটি মূলত একটি তথ্যমূলক ব্লগ। নিত্য নতুন তথ্য পেতে আমাদের এই ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন